ডাবলুর বহিষ্কার দাবিতে সরব রাজশাহী আ.লীগ

রাজশাহী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের অপসারণ দাবিতে হার্ডলাইনে রাজশাহী আ.লীগ। দল ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে ডাবলু সরকারের বহিষ্কার চাওয়া হয়েছে। আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর চতুর্থ-বারের মতো এই কর্মসূচি পালিত হলো রাজশাহীতে।
সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর লক্ষ্মীপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ডাবলু সরকারকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পর্কিত খবর
সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাড. আবু রায়হান মাসুদ এদিনও মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
রাজশাহী মহানগর আ.লীগের সহ সভাপতি অধ্যাপক শফিকুর রহমান বাদশা, মহানগর আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, মহানগর মহিলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শিখা, মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ, মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক অরবিন্দ দত্ত বাপ্পী, মহানগর ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহিদুল ইসলাম মোস্তফা, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজীব প্রমুখ।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আ.লীগের সদস্য অ্যাড. মোজাফফর হোসেন। পরিচালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে আজীবন ক্ষমতায় দেখতে চাই। এ কারণে আওয়ামী লীগের মধ্যে যেসব রাজাকার পরিবার ঢুকে পড়ে কুরুচিপূর্ণ কাজ করে দলকে নষ্ট করছে, তাদের সরিয়ে দিতে হবে। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটা কী? মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে তার এই নৈতিক স্খলন। যদি আমরা এটা মেনে নিই, তাহলে আগামী দিনে বিরোধী দল আমাদের ওপর আক্রমণ করবে। জনগণ আমাদের ভোট দেবে না। এই ঝুঁকি আমরা নিতে পারব না। ডাবলু প্রমাণ করতে পারেননি এতদিনে যে, তিনি নির্দোষ। বরং আমাদের কাছে তথ্য আছে, ফরেনসিক বিভাগ ভিডিওটি দেখে প্রমাণ পেয়েছে যে, ভিডিও ওই ডাবলুরই। অনেক হয়েছে। রাজাকার শাবক ডাবলুকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আমরা একইসঙ্গে তার আইনি শাস্তিও চাই। তার পেছনে যারা গডফাদার হয়ে তাকে বাঁচাতে চাচ্ছে, তার বা তাদের নামও আমরা নিয়ে আসব প্রয়োজনে।
এদিকে একটি সূত্র দাবি করছে, যেকোনও মুহূর্তে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে বহিষ্কার হতে যাচ্ছেন ডাবলু সরকার।