কক্সবাজার সৈকতে দুইজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে কিশোরীসহ দুইজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সৈকতের সী-গাল ও দরিয়ানগর পয়েন্ট এলাকা থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়েছে।
সী-গাল পয়েন্টে মারা যাওয়া ইসরাত জাহান কলি (১৩) বান্দরবানের লামা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়ার মোহাম্মদ ইসহাকের মেয়ে। তবে দরিয়া নগর এলাকা থেকে উদ্ধার যুবকের মরদেহের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
সম্পর্কিত খবর
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মাসুম বিল্লাহ বলেন, মঙ্গলবার সকালে ইসরাত বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে আসে। পরিবারের সবাই সৈকতে ঘোরাঘুরি ও সমুদ্রস্নান শেষে বালিয়াড়িতে উঠে আসেন। দুপুর ১টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় সৈকতের বালিয়াড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ইসরাত। স্বজনরা তাৎক্ষণিক তাকে অচেতন অবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কিশোরী কলির মৃত্যু হয়েছে। তবে তার মৃত্যু নিয়ে স্বজনদের কোনো আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, দুপুর দেড়টায় এক কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে কক্সবাজার সৈকতের কলাতলীর দক্ষিণে দরিয়া নগর এলাকার বালিয়াড়িতে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসা অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে হিমছড়ি ফাঁড়ি ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। দুপুরে সৈকতের মেরিন ড্রাইভের রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের হিমছড়ির দরিয়ানগর ব্রিজ এলাকায় সাগরতীরে মরদেহটি ভেসে আসে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, লম্বা প্যান্ট ও শার্ট পরিহিত আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর বয়সের ব্যক্তির কাঁধে ছিলো ট্র্যাভেল ব্যাগ। ধারণা করা হচ্ছে সৈকতের কোথাও ডুবে মারা যাওয়ার পর ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে এসেছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম