আজাদের আকুতি, ‘বাঁচতে চাই, আমারে বাঁচান’

হার্ট ব্লক নিয়ে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে শরীরে কঠিন যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে যশোরের বেনাপোল সীমান্তের নারায়নপুর গ্রামের ৯ বছরের আজাদ বিশ্বাস। গরিব পিতার অর্থ না থাকায় দিন দিন যেন মৃত্যুর প্রহর গুণছে শিশুটি। এমন অবস্থায় ছেলের সু-চিকিৎসার জন্য সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন শিশুটির মা-বাবা।
শিশু আজাদ বিশ্বাস বেনাপোল সীমান্তের নারায়নপুর দঃ পাড়া গ্রামের আলী কদরের ছেলে।
সম্পর্কিত খবর
আলী কদর জানান, দুই বছর বয়সে আমার ছোট ছেলে আজাদ বিশ্বাসের হার্ট ব্লক ধরা পড়ে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত চিকিৎসা করে যাচ্ছি। চিকিৎসক বেলেছেন অতিদ্রুত অপারেশন করতে হবে। যাতে ব্যায় হবে আনুমানিক তিন লাখ টাকা।
‘ছেলেকে বাঁচাতে দীর্ঘ ৭ বছর চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু অপারেশনের জন্য এতোগুলো টাকা জোগাড় করা আমার পক্ষে সম্ভব না। বর্তমান ছেলের ঔষধ কেনার টাকাও আয় করা সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, আমি মাছ ধরার জালটানা কাজ করি। এখন আগের চেয়ে ইনকামও কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় আমার ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা ও অতিদ্রুত অপারেশন করতে সমাজের বিত্তশালী মানুষ সহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
শিশু আজাদ বিশ্বাসের আকুতি, ‘আমি বাঁচতে চাই। আপনারা আমারে বাঁচান। আমি খেলা করতে চাই, আমি স্কুলে যেতে চাই। আমি লেখা পড়া শিখে আমার বাবাকে সাহায্য করতে চাই’।
আজাদকে বাঁচাতে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে বিত্তশালী মানুষ সহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ- এমনটাই কামনা করেন শিশুটির মা বাবা সহ স্থানীয় সচেতন মহল।
মৃত্যু পথযাত্রী শিশুটি সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করুন- মোবাইল নং-০১৯১৯২৭২২৮২ (বিকাশ নাম্বার)।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম