যশোরে অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনে দুইজনের মৃত্যু

যশোরে অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ অপর তিনজনের মধ্যে দুইজনকে জেলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসলাম হোসেন নামে একজন ও শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে জাকির হোসেন (২৯) নামে আরেক যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটলেও পরিবারের সদস্যরা পাঁচজনকে গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।
সম্পর্কিত খবর
মৃত ইসলাম হোসেন যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে এবং মৃত জাকির হোসেন একই গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। তাদের মৃত্যুর পরে স্বজনরা তড়িঘড়ি করে মৃত সনদ না নিয়েই হাসপাতাল থেকে মরদেহ দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অসুস্থরা হলেন- আবাদ কচুয়া গ্রামের আবু বক্কর মোল্লার ছেলে কাশেম ওরফে বাগানে কাশেম (৫৫), সিতারামপুর গ্রামের মনিরুদ্দীনের ছেলে বাবলু (২৮) এবং একই গ্রামের আনোয়ার মোড়লের ছেলে রিপন হোসেন মোড়ল।
জানা গেছে, মৃত ও অসুস্থরা গত ২৫ জানুয়ারি রাতে আবাদ কচুয়া থেকে হামিদপুর সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে আরমান হোসেন কটার মেহগনি ও লিচু বাগানে পাঁচজন মিলে নেশা জাতীয় দ্রব্য অ্যালকোহল বা ফেনসিডিল পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন উঠলে বিষয়টি ছড়িয়ে যায়। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসলাম ও জাকিরের মৃত্যু হয়।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগী ভর্তি করেছেন। তবে রোগীদের মুখের গন্ধ থেকে বোঝা যায় যে, অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের ফলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
যশোর কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন বলেন, এলাকাবাসীর তথ্য মতে অসুস্থ ও মৃতরা অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করেছিলেন। কিন্তু মৃত ও অসুস্থ রোগীর স্বজনরা তাদের রোগের ইতিহাস গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম