প্রমাণ করেছি যে, আমরা একটি সভ্য জাতি: আসাদুজ্জামান নূর

‘তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করার মধ্য দিয়ে আমরা অন্তত এটুকু প্রমান করেছি যে, আমরা একটি সভ্য জাতি। পৃথিবীর সমস্ত সভ্য দেশে এই আইনটি বহাল আছে অনেকদিন ধরেই। সেইসব দেশে এই আইনের চর্চাও আছে। ’
জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বেলুন উড়িয়ে দুই দিনব্যাপী তথ্যমেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
জেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটির আয়োজনে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সংসদে তথ্য অধিকার আইন পাশ করেছিলেন।
‘যথেষ্ট প্রগতিশীল মানসিকতা না থাকলে এই আইন পাশ হতো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন জাতীয় জীবনে সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হলে, দুর্নীতি কমিয়ে আনতে হলে এবং জবাবদিহিতামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হলে এই অবাধ তথ্য প্রবাহের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’
নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইনটি করেছেন একটি ইতিবাক চিন্তা থেকে। কিন্তু সে চিন্তার ফসল আমরা সেইভাবে ঘরে তুলতে পারছি না। এর কারণ হলো আমরা যারা তথ্য পেতে চাই, এই বিষয়টা সম্পর্কে আমরা অনেকে অবগতই নই। যারা জানি তারা আবার অনেকেই কিভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে হয় এটি জানি না। আর যারা ওইটুকু জানি তারা মনে করেন যে, এই তথ্য পেলাম ঠিকই কিন্তু এর পরবর্তী পক্ষেপ আমি কি নিতে পারবো। আর যারা তথ্য সরবরাহ করবেন যেসব প্রতিষ্ঠান সেটা সরকারি হোক আর বেসরকারি হোক তাদেরও একটি মানসিক বাধা আছে। কিজানী কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে পড়ে, ফলে অনেকে তথ্য দিতে চান না। যাদের দুর্বলতা আছে তারা এই ব্যাপারে খুই অনিহা প্রকাশ করেন। সকলের সহযোগিতায়, সকলের অংশগ্রহনে আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে।
তিনি বলেন, কেউ যদি তথ্য না দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনসন্মতভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করার বিধি আছে। পাশপাশি আমরা যারা জনগণ আছি আমাদের মধ্যেও সে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম