একসঙ্গে আর দেখা যাবে না তাদের!

পাবনা শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রায়ই দেখা যেতো এক প্রৌঢ় দম্পত্তিকে। ভালোবাসার অনুকরণীয় এই যুগল হলেন- শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার এতিমখানা পাড়ার শামসুল আলম (৮০) ও রওশন আরা (৭২)।
বাজারসদাই, পত্রিকা কেনা, মিষ্টির দোকানে বসে মিষ্টি খাওয়া- সবসময়ই দুজন একসঙ্গে। ঘরে-বাইরের প্রতিটি কাজে দুজন দুজনের সঙ্গে। চলার পথে একে অপরকে ধরে রেখেছেন শক্ত করে। আগলে রেখেছেন ভালোবাসার বন্ধনে। কিন্তু তাদের আর একসঙ্গে দেখা যাবে না!
সম্পর্কিত খবর
বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৩টা ২০ মিনিটে শামসুল আলমের জীবনাবসান ঘটেছে।
শামসুল আলমের জন্ম ১৯৪১ সালে। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭৩ সালে প্রথম বিসিএসে উত্তীর্ণ তিনি। কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। আর রওশন আরা এসএসসি পাস গৃহিণী। দুজনেরই বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা গ্রামে।
১৯৬২ সালে তাদের পরিচয়। তখন থেকেই ভালোবাসার শুরু, ১৯৬৩ সালে বিয়ে। এরপর থেকে কেউ কাউকে ছেড়ে থাকেননি কখনো।
পূর্বপশ্চিমিডি/অ-ভি