বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চরচাষী গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার ওই ছাত্রীর মা দুই জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তদের তিন আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছে গজারিয়া থানা পুলিশ।
সম্পর্কিত খবর
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বসতঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলার সময় স্থানীয় লিটন মিয়ার ছেলে আকাশ (১৬) ও পারভেজ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন (১৭) তার মুখ চেপে ধরে বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী সিদ্দিকুর রহমানের পরিত্যক্ত বসতভিটায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে। এসময় বাঁচতে চিৎকার করে সে, তবে পার্শ্ববর্তী বিয়ে বাড়িতে উচ্চৈঃস্বরে সাউন্ড বক্স বাজার কারণে সে শব্দ শুনতে পায়নি কেউ। ধর্ষণ শেষে তাকে সেখানেই ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরবর্তীতে তার জ্ঞান ফিরে আসলে কোনো রকমে তার বাড়িতে ফেরে।
এদিকে এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার পর বাধা দেয় অভিযুক্ত আকাশ ও সালাউদ্দিনসহ তাদের স্বজনরা। এ সময় তাদের মারধরের শিকার হন ওই ছাত্রীর মা, বড় বোন ও দুলাভাই।
ওই ছাত্রীর মা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে ধর্ষক ও তাদের স্বজনরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে তার বড় মেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গজারিয়া থানার ওসি রইছ উদ্দিন জানান, সঙ্গবদ্ধ একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তদের তিন আত্মীয়-স্বজনকে থানায় আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস