২ সন্তানসহ নিহত প্রাথমিক শিক্ষিকার স্বর্ণ উদ্ধার: আটক ৩

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মিরপুর মহল্লার কালাচাঁন মোড়ে দুই সন্তাসহ বাস ও ট্রাকের মাঝখানে চাপা পড়ে নিহত হন বনবাড়ীয়া সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ইফরাত সুলতানা রুনী। দুর্ঘটনার সময় তার শরীরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়ে যায়। পরে পরিবারের স্বজনরা অভিযোগ করে থানায়। এ ঘটনায় তিন ডোমকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ডোমের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সম্পর্কিত খবর
আটককৃতরা হলেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের ডোম রানা (৩২), শাহ আলম (৩০) ও সুমন (৩৫)।
মামলার বাদী মোসফেকুস সালেহীন জানান, দুর্ঘটনার সময় আমার বোনের সঙ্গে স্বর্ণের একটি চেইন, দুইটি আংটি, দুইটি হাতের বালা, একজোড়া কানের দুল ও নাকফুল ছিল। মর্গে থেকে লাশ পাওয়ার পর তার শরীরে কোন স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়নি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, ৩ জন ডোমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে নিহত শিক্ষিকার স্বর্ণলঙ্কার উদ্ধার করেছি। স্বর্ণলঙ্কার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফরিদুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে আমি অবগত নয়। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে অবশ্যই ডোমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্কুল শিক্ষিকা ইফরাত সুলতানা রুনী ছেলে/মেয়েকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে শহরে যাচ্ছিলেন। পথে কালাচাঁন মোড় এলাকায় পৌঁছালে এনায়েতপুর দরবার শরীফ থেকে সিরাজগঞ্জগামী জাহাঙ্গীর পরিবহনের একটি বাস সামনের একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে রিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে রিকশাটি ধুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই স্কুল শিক্ষিকা রুনী ও তার ছেলে নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয় শিশু সোয়াবা রহমান ও রিকশাচালক চাঁন মিয়া। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক শিশু সোয়াবা রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন