ঠাকুরগাঁওয়ে শ্মশানের জমি নিয়ে দ্বন্দ মেটেনি এক যুগেও

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে শ্মশান ঘাটের জমি নিয়ে দ্বন্দ মেটেনি এক যুগেও। হরিপুর উপজেলার গেদুড়া হাটপুকুরে দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘুদের শশ্মানঘাট নিয়ে চলছে টালবাহানা।
জমি বিরোধ জেরে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও সুরাহা হয়নি। আর শশ্মানঘাট কমিটির অভিযোগ জমি দখলের পাঁয়তারা করছে প্রতিপক্ষরা। এ নিয়ে এলাকায় চলছে উত্তেজনা।
সম্পর্কিত খবর
বিষয়টি তদন্তে গত শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান কাইয়ুম ইসলাম পুষ্প, গেদুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ।
২০১৮ সালে ওই উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের রাজাদীঘি গ্রামের বিলখা বর্মন মারা গেলে লাশ নিয়ে সৎকারের জন্য হাটপুকুরের ওই শ্মশানে নিয়ে যায়। এ সময় আবুহুর নামে এক ব্যক্তি ওই শ্মশানঘাটে লাশ সৎকারে বাঁধা দেয়। এমনকি মৃতদেহ সৎকারের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরও মৃতদেহটি নিয়ে টাঁনা হেছড়া করে। লাশ কবরে নামানোর পরে আবার তুলতে বাধ্য করে। এসময় লাশের স্বজনেরা ও শশ্মান দখলকারী আবুহুর ও মাঠকুর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় শ্মশান কমিটির সভাপতি ৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্য থেকে এক আসামিকে গ্রেপ্তা করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছিল পুলিশ। মামলার আসামিরা হলেন আবুহুরকে (৩৫), মাঠকু (৫০), করিম (৫০), মো: ময়না (৩০), রায়হান (২৮)। সংঘর্ষে মৃত বিখলা বর্মনের ছেলে রমেশ ও সমেশ আহত হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে হরিপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে আবুহুরকে গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ থাকা অবস্থায় বিলখা বর্মনের মৃতদেহটি পুনরায় সৎকার করা হয়।
হাটপুকুর শ্মশানঘাটের সাধারণ সম্পাদক বিদেশী রায় জানান, যুগ পেরিয়ে গেলেও শ্মশান ঘাটের শ্মশানঘাটে মোট ২.২৭ একর জমির সুরাহা মিলছে না। স্থানীয়রা যতবার লাশ নিয়ে এ শশ্মানে আসে ঠিক ততবার হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিষয়টি সমাধান চাইছি।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ জানান, বিষয়টি প্রশাসন দেখছেন। আমরা আশা করছি শ্মশানের জমি দ্রুতই ফিরে পাবো।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল করিম জানান, ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস