কারাগার থেকে পালানো কয়েদির সন্ধান মেলেনি

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিকের শনিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কারাগার পরিদর্শন করে প্রথম দিনের তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বিকেলে কারা ফটকের সামনে সাংবাদিকদের জানান, আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য দেয়া যাচ্ছে না। কারণ আমরা তদন্তের প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ করেছি। বাকি কার্যক্রম খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনারা জানতে পারবেন। নতুন করে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে সুপারিশ করবে। আমরা তদন্ত করছি, এ ঘটনায় কারা দায়ী। কিভাবে পালিয়ে গেল সেটা বের করার চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলার সুযোগ নেই।
এদিকে কারাগার থেকে কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পরপরই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ক্রাইম) মো. শরিফুর রহমান, কোনাবাড়ি থানার ওসি মো. এমদাদ হোসেন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কারা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কোনাবাড়ি থানার ওসি জানান, কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক এর আগেও কাশিমপুর কারাগার থেকে ২০১৫ সালের ১৩ মে আত্মগোপন করে ছিলেন। তখন তিনি কারাগারের সেল এলাকায় সেপটিক ট্যাংকির ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। পরদিন তাকে ট্যাংকির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পর কিছু দিন তাকে কারাগারে শিকল পরিয়ে রাখা হত। এতে আবু বকর মানসিকভাবে কিছুটা বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরে তাকে শিকলমুক্ত করে দেয়া হয়। কারা চত্বরে তিনি অন্য বন্দিদের সঙ্গে কাজকর্ম করতেন। বৃহস্পতিবারও তিনি অন্য কারাবন্দিদের সঙ্গে মুক্ত অবস্থায় ছিলেন।
এদিকে কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ও জেলারের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারাগারের প্রধান কারারক্ষী, সহকারী প্রধান কারারক্ষী ও সাত কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আরও ৫ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে শুক্রবার বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির আসামি হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে আসেন। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তার সাজা সংশোধন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন উচ্চ আদালত।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি