মুক্তি পাচ্ছে ২০৫ কারাবন্দি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জের ২০৫ জন কারাবন্দির মুক্তির জন্য সুপারিশ করে তালিকা প্রেরণ করেছে জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে পূর্বপশ্চিমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।
জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেশে শুরু হওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নারায়ণগঞ্জ জেলার কারাগারকে দীর্ঘমেয়াদী বন্দিদের একটি তালিকা তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সরকারের সেই নির্দেশনা অনুযায়ী একটি তালিকা তৈরি করে ইতোমধ্যেই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই তালিকা থেকে বিবেচনা করে সরকার যাদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা দিবে সেই অনুযায়ী নির্ধারিত বন্দিরাই মুক্তি পাবে।
সম্পর্কিত খবর
তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদী সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ছোটখাটো অপরাধ ও অধিক বয়স্ক (অচলাবস্থায় রয়েছেন) কয়েদি যারা রয়েছেন মূলত তাদের নিয়েই ২০৫ জনের এ তালিকা করা হয়েছে। ২০৫ জন কয়েদির মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থাৎ যারা ২০ বছর সাজাভোগ করেছেন এমন সংখ্যা ৫ জন। এছাড়া ৬ মাস পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত ৭২ জন, ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত ২৫ এবং লঘু অপরাধে অর্থাৎ বিচারাধীন রয়েছে এমন আসামির সংখ্যা ১০৩ জন।
জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ আরও জানান, ৩০০ জন বন্দির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বর্তমানে দীর্ঘমেয়াদী, লঘু অপরাধপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন অপরাধের প্রায় ১ হাজার ৮শ' কারাবন্দি রয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের জায়গার তুলনায় বন্দি বেশি থাকলেও করোনাভাইরাস ঝুঁকি মোকাবেলায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ নানা ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস ঝুঁকি এড়াতে কারাবন্দিদের সঙ্গে তাদের আত্নীয়-স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ অস্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে এবং বন্দি ও তাদের স্বজনরা যাতে একে ওপরের খবরাখবর রাখতে পারে সেজন্য ১০ টি টেলিফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/আরএইচ