শিশু ধর্ষণের পর চিকিৎসা সেবা নিতেও বাধা!

সুনামগঞ্জে দিনমজুর বিধবা মায়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু কন্যাকে ধর্ষণের পর চিকিৎসা সেবা নিতেও বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে ধর্ষকের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
রোববার (৯ জুন) রাতে মহিলা পরিষদের সহায়তায় ভিকটিম শিশুকে অবশেষে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও এবার আইন সহায়তা না নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে ধর্ষকের পরিবার।
সম্পর্কিত খবর
ভিকটিমের পরিবার ও সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদ জানায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুরে এক দিনমজুর বিধবা মায়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছয় বছর বয়সী কন্যাকে তার মায়ের অনুপস্থিতিতে শনিবার রাত আটটার দিকে বসত ঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশি তেরাব আলীর বখাটে ছেলে রুহুল আমিন (১৯)।
এরপর ভিকটিমকে ধর্ষণের কথা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাতে শিশুর শরীরে তীব্র জ্বর উঠলে গোপনাঙ্গেও ব্যথা শুরু হয়। দিনমজুর বিধবা মা ঘটনা জানতে চাইলে সে বখাটের হুমকির বিষয়টি মনে করে চেপে যায়। রোববার বিকেলে শারীরিক ধকল সইতে না পেরে শিশুটি তারই প্রতিবেশি চাচাতো ভাইয়ের বউয়ের কাছে এ ঘটনা খুলে বললে ওই নারী তাৎক্ষণিকভাবে শিশুর মাকে বিষয়টি জানান। এসময় তিনি মেয়েকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিতে নিয়ে যেতে চাইলে রুহুল আমিনের বাবা, মা, বোন ও বোন জামাই তাদেরকে হাসপাতালে যেতে বাঁধা দিয়ে বসত ঘরেই অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ খবর সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদ ও স্থানীয় কাউন্সিলর জানতে পেরে ভিকটিমের মাকে হাসপাতলে চিকিৎসা নেয়া ও সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
অবশেষে রোববার রাত ৮টার দিকে শিশু কন্যাকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন বিধবা মা।
এদিকে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর ধর্ষকের পরিবার থানায় গিয়ে কোন রকম আইনি সহায়তা না নেয়ার জন্য বারবার হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর আহমেদ নূর বলেন, ওই মহিলা আমাকে ফোনে ঘটনা খুলে বলার পর আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে প্রথমে মেয়েকে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়ে সব রকমের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছি।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ঘটনা জানার সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে ওই শিশু কন্যার চিকিৎসা সেবার বিষয়টি প্রথমে নিশ্চিত করেছি এরপর ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশের অপর একটি টিমকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছি।
পিপিবিডি/পিএস