বেইজিং অলিম্পিক বয়কটের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

চীনের বেইজিংয়ে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এ ঘোষণা দেন। খবর সিএনএনের।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিকে খেলোয়াড়রা অংশ নিলেও সরকার কোনো প্রতিনিধি বেইজিংয়ে পাঠাবে না। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রও একই ঘোষণা দিয়েছে। দেশটি বলেছে, খেলোয়াড়রা অংশ নিলেও সরকারি কোনো প্রতিনিধি তারা পাঠাবে না।
সম্পর্কিত খবর
সিডনিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জিনজিয়াংযের বিভিন্ন ইস্যু’ অস্ট্রেলিয়া সরকারকে বেইজিংয়ের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এসব ইস্যুতে চীনা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আমি খুবই আগ্রহী। আমাদের তরফ থেকে এই আলোচনায় কোনোরকম বাধা নেই। কিন্তু চীন সরকার বরাবরের মতোই ওই ইস্যুতে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সুযোগ গ্রহণ করছে না।
গত কয়েকমাস ধরে চীন সরকারের হংকং ও তিব্বতে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন এবং জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বেইজিং অলিম্পিক বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আসছে অ্যাক্টিভিস্টরা।
বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু পশ্চিমা রাষ্ট্র জিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরগুলোতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ১০ লাখের বেশি উইঘোরকে বন্দি রাখার অভিযোগ করে আসছে। ওই বন্দিশিবির থেকে মুক্তি পাওয়া কিছু উইঘোর দাবি করেছেন, তাদেরকে ওই বন্দিশালায় জোরপূর্বক বন্ধ্যাত্বকরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে বেইজিং এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ওই ‘পুনঃশিক্ষণ’ কেন্দ্রগুলো দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের ইসলামি উগ্রবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ নির্মূলের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) গত জানুয়ারিতে বলেছে, কোনো দেশকে অলিম্পিক আয়োজনের সুযোগ দেওয়া মানে এই নয় যে, তাদের ‘মানবাধিকার স্ট্যান্ডার্ড’ সমর্থন বা অনুমোদন করা।
তবে অ্যাক্টিভিস্টরা বলছে, চীনকে অলিম্পিকের মতো হাই-প্রোফাইল ইভেন্ট আয়োজন করতে দেওয়া মানে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিকে তাদের কর্মকাণ্ডের বৈধতার অনুমোদন দেওয়া।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি