ব্রিসবেন টেস্ট
শার্দুল-সুন্দরের ব্যাটে ম্যাচে ফিরলো ভারত
-image-1610875094.jpg)
শার্দুল-ওয়াশিংটন সুন্দরের জোড়া হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৩৭০ রান তাড়া করতে নেমে ৩৩৬ রানে অলআউট হলো ভারত। তৃতীয় দিনে পূজারা-রাহানেরা বড় রান হাঁকাতে না পারায় ১৮৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত একসময় চাপে পরে যায়। সেখান থেকেই শার্দুল-ওয়াশিংটনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ম্যাচে ফিরলো ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লিড ৩৩ রানের।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতে শার্দুল (১১৫ বলে ৬৭ রান) এবং ওয়াশিংটনের (১৪৪ বলে ৬২ রান) পারফরম্যান্স, ব্রিসবেনে প্রথম একাদশে জায়গা করে দিয়েছিরো। সেই ভরসা তারা রেখেছেন। সপ্তম উইকেটে ১৮৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ওয়াশিংটন, শার্দুল।
সম্পর্কিত খবর
সুনীল গাভাস্কার বলেন, শামি-জাদেজারা সুস্থ হয়ে উঠলে হয়তো অনেকগুলো ম্যাচ আবার বসে থাকতে হবে শার্দুলদের। কিন্তু ওরা দেখিয়ে দিলো যে তৈরি রয়েছে তারাও।
ব্রিসবেনে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) শেষ সেশন বৃষ্টির জন্য বাতিল হয়ে যাওয়ায় রবিবার আধাঘণ্টা আগে খেলা শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের সামলে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ২ অভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটসম্যান। বিপদ ডেকে আনেন প্যাট কামিন্স (২৭ ওভারে ৯৪/২)। দুরন্ত এক বলে চেতেশ্বর পূজারাকে আউট করেন তিনি। অফ স্টাম্প লক্ষ করে ঢুকে আসা বলে, ব্যাট ছুঁয়ে যায় পূজারার (৯৪ বলে ২৫ রান)। টিম পেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
পূজারা ফিরলেও ভারত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলো। ওপেনার হিসেবে এই সিরিজে বার বার ব্যর্থ হলেও ৫ নম্বরে নেমে শুরুটা খারাপ করেননি ময়াঙ্ক আগারওয়াল। অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে ৩৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। কিন্তু ভুলটা করে ফেলেন রাহানে (৯৩ বলে ৩৭ রান)।
মিচেল স্টার্কের (২৩ ওভারে ৮৮/২) বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। লাঞ্চের আগে এই উইকেট না হারালে সেশনটা নিজেদের দখলে রাখতেই পারতো ভারত।
লাঞ্চ থেকে ফিরে দ্বিতীয় বলেই উইকেট দিয়ে দেন মায়াঙ্ক (৭৫ বলে ৩৮ রান)। জস হ্যাজেলউডের (২৪.৪ ওভারে ৫৭/৫) বলে স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। এই অবস্থায় ঋষভ পান্তের ওপরই ভরসা করছিলো ভারত। কিন্তু টেল এন্ডারদের সঙ্গে ইনিংস গড়ার মতো মানসিকতা তার এখনো তৈরি হয়েছে কি না সেই বিষয় প্রশ্ন উঠতেই পারে পান্তের আউট হওয়ার ধরন দেখে। হ্যাজেলউডের বাউন্সার ছেড়ে দেওয়ার বদলে স্লিপের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে গেলেন পন্থ। কিন্তু ধরা পড়ে গেলেন ক্যামরন গ্রিনের হাতে।
ভারতের ইনিংস শেষ হয় ৩৩৬ রানে। অস্ট্রেলিয়ার থেকে ৩৩ রানে পিছিয়ে ছিলো রাহানেরা। দিনের শেষ ৬ ওভার ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার ৩ ওপেনার তোলে ২১ রান। কোনো উইকেট ফেলতে পারেননি শার্দুলরা। চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়াকে কতো তাড়াতাড়ি অল আউট করতে পারে সেই দিকেই তাকিয়ে সমর্থকরা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/অ-ভি