তর্ক হোক, ঝগড়া নয়

ব্র্যাক এবং আরডিএস দুটো সংস্থা মিলে সমাজের মানুষের সহিষ্ণুতা নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। ১৬ নভেম্বর সিরডাপ মিলনায়তনে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম অতিথি হিসাবে। সংসদ সদস্য ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী (রবিউল মুক্তাদির) প্রধান অতিথি ছিলেন। আমার সাথে আরো অতিথি ছিলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ,সাংবাদিক সোহরাব হাসান, অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্তসহ অনেক বরেণ্যজন।
সম্পর্কিত খবর
গবেষণায় সহিষ্ণুতা নিয়ে তরুণদের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। দেখা গেছে একেবারে যারা তরুণ সহিষ্ণুতা তাদের সবচে কম। ভবিষ্যত সমাজের জন্য, আগামীর জন্য নিঃসন্দেহে এটি অশনি সংকেত।
অন্যদিকে কোনো গবেষণা ছাড়াই সাদা চোখে যদি চারপাশে তাকাই অসহিষ্ণুতা তীব্রভাবেই দেখা যায়। শুধু সদ্য তরুণ নয়, সব বয়সের মানুষের মধ্যই সহিষ্ণুতার খুব অভাব।
অসহিষ্ণুতা সমাজকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। সুস্থ -সুন্দর সমাজের জন্য সহিষ্ণুতা বড় বেশি প্রয়োজন। অর্থ-বিত্তের প্রতিযোগিতা সমাজকে রুগ্ন করে দিচ্ছে। কম সময়ে প্রচুর অর্থ-বৈভবের মালিক হবার পথ আমাদের চারপাশে। এই পথ মানুষকে দিশেহারা, অসহিষ্ণু করে দিচ্ছে। অপরদিকে নিজের বাহাদুরি দেখানোর প্রবণতাও সংকট তৈরি করছে। নিজে যা ভাবছে সেটাই সর্বোচ্চ ভেবে বসে আছে। অন্যের ভাবনা-চিন্তাও যে ভালো হতে পারে সেটা মানতে নারাজ। শক্তি প্রয়োগ করে হলেও নিজের ভাবনাকেই সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্টিত করতে চাচ্ছে। এ যেন ভয়ানক গোয়ার্তমি। অথচ সভ্য সমাজের জন্য প্রয়োজন সহিষ্ণু মানুষ।
মানুষে মানুষে অর্থ-বিত্তের অসম, অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ হোক। ন্যায় ভিত্তিক প্রতিযোগিতামূলক সমাজ প্রয়োজন। ধর্মের নামে, রাজনীতির নামে,বিত্ত-বৈভবের অসুস্থ প্রতিযোগিতার নামে অসহিষ্ণু পথ থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে।
ঈর্ষার অনলে না পুড়ে মানুষ সুখী হোক।
তর্ক হোক-ঝগড়া নয়।
জীবনানন্দ লিখেছেন
'আলোর চুমায় এই পৃথিবীর হৃদয়ের জ্বর কমে যায়'।
মানুষের হৃদয় আলোকিত হোক।আলোকিত হৃদয়ই দিতে পারে সহিষ্ণু সমাজ।(পীর মিসবাহ এমপির ফেসবুক থেকে)
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম