বিএনপি ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলো: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলো। যে ভাষণ ইউনেস্কো পৃথিবীর অন্যতম সেরা ভাষণের স্বীকৃতি দিয়েছিলো সেই ভাষণ তারা বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকাকালে নিষিদ্ধ করেছিলো। কাজে এই দিবসের প্রতি, তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তাদের নূন্যতম বিশ্বাস বা চেতনা ধারণ করে সেটা আমরা বিশ্বাস করি না।
৭ মার্চ উপলক্ষে বুধবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসের বাক পরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ স্বাধীনতার ডাক।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে বিএনপি। গণতন্ত্র একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া। রাতা রাতি গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পাবে না। আমাদের চেষ্টা আছে। গণতন্ত্র ক্রমে ক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পাচ্ছে। যেটুকুই আছে সেটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। ‘তারা গণতন্ত্রকে একটা চোখা শব্দ বলতে হবে, এই জন্য বলে। তাদের ক্ষমতার আমলটা তারা কীভাবে চর্চা করেছে সেটা দেখতে হবে। এটা এমন একটা দল, তাদের নিজেদের ঘরেই গণতন্ত্র নাই। তারা দেশে গণতন্ত্র কী ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেদিনেই ছিলো আসলে স্বাধীনতার মূল ঘোষণা। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর রাত সাড়ে ১২টায় যে স্বাধীনতার ঘোষণা সেটা আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু স্বাধীনতার মূল ঘোষণা সেটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ভাষণের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে। এই ভাষণের মধ্যদিয়ে আমাদের ২৩ বছরে স্বাধিকার সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামে পরিণত হয়। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা এটা হলো পরিবর্তণ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণার এক মাত্র বৈধ অধিকার ছিলো বঙ্গবন্ধুর। কারণ, তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তৎকালীন পূর্ববাংলায় ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ পেয়েছিলো। কাজে, স্বাধীনতা ঘোষণা বৈধ অধিকার ছিলো এক মাত্র বঙ্গবন্ধুর। অন্যকারো স্বাধীনতার ঘোষণার বৈধ অধিকার ছিলো না। ঘোষক বলে যারা স্বঘোষিত ঘোষক, অনেকেই ছিলে ঘোষণার পাঠক। পাঠক আর ঘোষক এক কথা না।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম