৪ ফেব্রুয়ারি সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি

ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে সন্ত্রাসের ইতিহাস। সন্ত্রাস কায়েম করে তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। আজ ৫০ বছর পরও চিৎকার করে বলতে হচ্ছে, গণতন্ত্র চাই, ভোটাধিকার চাই।
সম্পর্কিত খবর
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা যখনই কর্মসূচি দেই, তখনই আওয়ামী লীগ একটা পাল্টা কর্মসূচি দেয়। তাদের পার্টি অফিসের সামনে এখনো সমাবেশ চলছে। তাদের মধ্যে এতো আস্থার অভাব আছে। এতো ভয়, বিএনপির প্রোগ্রাম করলে না জানি কী হয়ে যায়। এই ভয়ে তারা পাল্টা কর্মসূচি দেয়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কোন রাষ্ট্রপতি? তিনি কি কিছু করতে পারেন? তিনি কি প্রধানমন্ত্রীর বাহিরে যেতে পারেন? এজন্য আমরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য এনেছি।
তিনি বলেন, আজ এ সরকার সচেতনভাবে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচনে তামাশা তৈরি করেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই- এই তামাশার নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। তাই এই সরকারকে সরাতে হবে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সময় হয়ে গেছে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার। তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এখন দেশের মানুষ ডিম খেয়েও বাঁচতে পারছে না। গ্যাসের দাম বেড়েছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। মানুষ আর এ সরকারের শোষণ নিতে পারছে না।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগ সরকারে হাতে গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে। বাকশাল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের পত্রিকাগুলো বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। সেদিন বাকশাল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আমাদের দেশের তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী সেদিন আওয়ামী লীগ সরকারকে সাপোর্ট দিয়েছিলো।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্র বিশ্বাসী নয়। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু কাজ করে উল্টো। আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে সন্ত্রাসের। আওয়ামী লীগের ইতিহাস অবৈধ ক্ষমতা দখলের। আজ অধিকারের জন্য, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগের সরকারের হাতে প্রাণ দিচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের প্রাণ দিতে হয়েছে অসংখ্য।
পাঠ্যপুস্তকে আমাদের ঐতিহ্যবিরোধী বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেগুলো আমাদের ঐতিহ্যবিরোধী, সংস্কৃতিবিরোধী সেগুলো বাতিল করে নতুন করে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম