ইভিএমে ভোট হলে কপাল পুড়বে বিএনপির: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করে বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হলে কপাল পুড়বে জেনে বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের বিরোধিতা করছে। তারা হচ্ছে ভোট ডাকাতের সর্দার।
শনিবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর হাজারীবাগে থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর ধারাবাহিক সংলাপে অংশ নেয় ২৮ দল। এর মধ্যে ৩০০ আসনে ইভিএম চেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দুটি দল শর্তসাপেক্ষে আর ১৪টি দল ইভিএমের পক্ষে মত দিয়েছে। বিরোধিতা করেছে বাকি দলগুলো। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার। বিএনপি ইসির সংলাপে অংশ না নিলেও তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে এই যন্ত্রটি ব্যবহারের বিরোধীতা করে আসছে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক আওয়ামী লীগ তা চায় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে আসা না আসা বিএনপির একান্ত নিজস্ব ব্যাপার, আওয়ামী লীগও চায় বিএনপি নির্বাচনে আসুক, কিন্তু কাউকে জোর করে নির্বাচনে আনার কোনো দরকার নাই।’
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির ইচ্ছায় নয়, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নাকি আগামী নির্বাচনে ৩০ আসনও পাবে না, তাহলে কি বিএনপি মহাসচিব জ্যোতিষবিদ হয়ে গেছেন?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০০৮ সালেও বিএনপির নেত্রী বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ৩০ আসনও পাবে না, কিন্তু ভোটে দেখা গেলো উল্টো বিএনপিই ৩০ আসনও পায়নি।’
গতবারও বিএনপি নির্বাচনে আসবে না বলে জানায় কিন্তু গাধা পানি ঘোলা করে খায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পরে ঠিকই নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি।’
হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও নুরুল আমিন রুহুল।