জাল ভোট দেওয়ায় যুবলীগ সদস্যের এক বছরের জেল

পৌর নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা ও এক প্রার্থীর এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের সদস্য শাহাদত হোসেনকে (৩০) এক বছরের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিস্কৃতি হাগিদক তাকে এ সাজা দেন।
এর আগে পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আলমগীর শাহী সুমনের এজেন্ট পারভেজকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
আদালত সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, সারিয়াকান্দির বাগবেড় এলাকার শাহজাহান আলীর ছেলে শাহাদত হোসেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তার ভগ্নিপতি সিতাবুল (পাঞ্জাবী মার্কা) সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ভোট চলাকালে শাহাদত অন্যের পক্ষে জাল ভোট দিতে বাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বুথে প্রবেশ করেন। এর আগে তিনি ওই কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর শাহী সুমনের এজেন্ট পারভেজকে মারপিট করে বুথ থেকে বের করে দেন। খবর পেয়ে দায়িত্বরতরা তাকে আটক করেন। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিস্কৃতি হাগিদক দুটি অপরাধে তাকে (শাহাদত) ছয় মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
তবে সারিয়াকান্দি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আইয়ুব দাবি করেছেন, সাজাপ্রাপ্ত শাহাদত হোসেন তার সংগঠনের নন। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক নেতা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শাহাদত কাউন্সিলর প্রার্থী ভগ্নিপতি সিতাবুল ও নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী মতিউর রহমানের পক্ষে জাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সাখাওয়াত হোসেন জানান, কেন্দ্রে পৃথক দুটি অপরাধ করায় আদালত শাহাদত হোসেন নামে এক যুবককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়ার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন