এনায়েত উল্লাহ আওয়ামী লীগের ঢাকা দক্ষিণের কমিটিতে

সম্মেলনের ১১ মাসের বেশি সময় পর ১০২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহকে। এর আগেও তিনি সহ-সভাপতি ছিলেন।
খন্দকার এনায়েত উল্লাহর মালিকানাধীন এনা পরিবহনের বাস ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। পরিবহন মালিক সমিতির এ নেতার বিরুদ্ধে সড়কে প্রতিদিন এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে জানতে এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী নার্গিস সামাদ, মেয়ে চাশমে জাহান নিশি ও ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয়ের নামে নিবন্ধিত যানবাহনের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
সম্পর্কিত খবর
চিঠিতে বলা হয়, এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকা ও এর আশেপাশের বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারি ১৫ হাজার বাস থেকে দৈনিক এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের কথাও দুদকের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আরো পড়ুন: ‘আবারো বলবো, আমি চিরদিন থাকবো না, ৭৪ বছর অনেক বেশি’
গত বছরের ১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে এনায়েতের বিরুদ্ধে ঢাকার পরিবহন থেকে ‘দৈনিক এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা' আদায়ের অভিযোগ করেন সড়ক পরিবহন সমিতির সাবেক নেতা ইসমাইল হোসেন বাচ্চু।
ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার নীচপনুয়া গ্রামের বাসিন্দা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ১৯৮৪ সালে গুলিস্তান-মিরপুর রোডে একটি মিনিবাস দুজনে পার্টনারে কিনে পরিবহন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৯২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এনায়েত উল্লাহর উত্থান শুরু হয়। তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র মির্জা আব্বাস ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি হলে এনায়েত উল্লাহ সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আঁতাত করে স্বপদে বহাল থাকেন। মাঝে আবার বিএনপির সঙ্গে ছিলেন। সবশেষ ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আবার দলে ঢুকে পড়েন তিনি। এভাবে পরিবহন খাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা ধরে রেখেছেন এনায়েত উল্লাহ।
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনা না থাকলে দেশে রক্তগঙ্গা
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কমিটিতে মেয়র ফজলে নূর তাপস
আওয়ামী লীগের ঢাকা দক্ষিণের কমিটিতে হাজী সেলিম
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস