গণহত্যা বিষয়টি স্বীকার করবে আমেরিকা, আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমেরিকা আমাদের বন্ধু দেশ। আমি আশা করবো, আমেরিকা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা হয়েছে সেটা স্বীকার করবে। স্বীকার করলে আমরা খুব আনন্দিত হবো।
সোমবার (২৭ মার্চ ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।
বিরোধী বিভিন্ন দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সাম্প্রতিকালে কিছু নালিশ পার্টি আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রচারণা চালায়। তারা বলে যে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা বলে শেখ হাসিনা সরকার গণতন্ত্র ধংস করে দিলো। ১৯৭১ সালে গণতন্ত্র যখন নস্যাৎ হয়ে যায়, বিচার যখন নস্যাৎ হয়ে যায়, তখন বাংলাদেশিরা মানবাধিকার, ন্যায়বিচার বহালে যুদ্ধ করেছি, স্বাধীন করেছি। আমাদের রক্তে গণতন্ত্র, আমাদের রক্তে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আশা করবো এসব নালিশ পার্টিরা যেন বাজে বক্তব্য দিয়ে পার না পায়, তার জন্য আপনারা লেখালেখি করবেন। আর শেখ হাসিনা সরকার বংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। কয়েক হাজার ইলেকশন হচ্ছে। আমাদের উল্টো দল যারা নালিশ পার্টির সময় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন হয়েছিলো। ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার হয়। একটা হাতের নড়ি নির্বাচন কমিশন তৈরি হয়। কিন্তু যাতে ভুয়া ভোট না হয় শেখ হাসিনা এখন বায়োমেট্রিক ফটো আইডি তৈরি করেছেন। স্বচ্ছ ব্যালট বক্স তৈরি করেছেন। একটি স্বাধীন ইসি তৈরি করেছেন। আর গত ১৪ বছরে শত শত নির্বাচন হয়েছে। এ তথ্যগুলো পৃথিবীকে জানানো দরকার। শেখ হাসিনা সরকারের স্থিতিশীলতার কারণে গত ১৪ বছরে অভাবনীয় সাফল্যের কথা জানান দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নালিশ পার্টি এ ব্যাপরে অনেক অগ্রসর। তারা মিথ্যা প্রচারণা করে অনেক জয়গায় পার পেয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সব নেতাকর্মীরা সারা বিশ্বের সবাইকে সঠিক তথ্য তুলে ধরে অবস্থান সুদূঢ় করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন কিন্তু অত্যন্ত কঠিন নির্বাচন। ওই নির্বাচনে যদি বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার যদি জয়লাভ না হয় তাহলে আমাদের যে, এতো এতো অর্জন সেগুলো ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, শুধু অর্থনৈতিক অর্জন নয়, দেশের মান-ইজ্জত অনেক ওপরে উঠেছে। আমি যখন ২০০৯ সালে রাষ্ট্রদূত হলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে যাবেন। ওনার সাথে সাক্ষাতের জন্য তখন বড়লোকের দেশগুলোকে অনুরোধ করলাম। বড়লোকের ৫টি দেশ ইউএসএ, ইউকে, ফ্রান্স, জাপান এবং ইতালি। একটা দেশ উত্তরও দেয়নি। চিঠির উত্তরও দেয়নি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতে জি-২০-তে আমাদের দাওয়াত দিয়েছিলো। সেখানে অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম। সেই বড়লোকের ১০টি দেশ আমাদের সাথে সাক্ষাতের জন্য অনুরোধ করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার জন্যে। উন্নয়ন করেছে বলে। এখন অন্যরা আমাদের পাত্তা দেয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম