টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া হলো জুবায়েরপন্থীদের

কয়েক দফা বৈঠক শেষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান বুঝিয়ে দেওয়া হলো আলমি শুরার (জুবায়েরপন্থী) শীর্ষ মুরব্বিদের। গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমন্বিত সিদ্ধান্তের পর আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জুবায়েরপন্থীদের ইজতেমা ময়দান বুঝিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন। যদিও আগামী বছর ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের প্রথম পর্বে কোন পক্ষ ইজতেমা আয়োজন করবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মো. সায়েম বলেন, ‘সরকারি সিন্ধান্তের বিষয়ে আমাদের মুরব্বিরা আলোচনা করছেন। আগামী বছরের ইজতেমার প্রথম পর্ব আমরা আয়োজন করব। পরে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
সম্পর্কিত খবর
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান টেলিফোনে বলেন, ‘আমার প্রতিনিধি দল আজ জুবায়েরপন্থীদের ময়দান বুঝিয়ে দিয়েছে। আমি সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছি। এতে কোন পক্ষ মেনে নেবে সেটা বিষয় নয়।’
এর আগে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ইজতেমা আয়োজক কমিটির দুই পক্ষের শীর্ষ মরুব্বিদের নিয়ে নিজ বাসভবনে বৈঠকে বসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান।
জুবায়েরপন্থীদের ইজতেমা ময়দানের জিম্মাদার মাওলানা আব্দুল্লাহ শামিম বলেন, ‘আমরা আজ ময়দান পুনরায় বুঝে নিয়েছি। আগামী ইজতেমা পর্যন্ত ময়দানের সব মালামাল আমাদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আয়োজনে আমাদের মালামাল ময়দানের উত্তর-পশ্চিম অংশের নির্ধারিত (পাকিস্তানের মুসল্লিদের জন্য থাকার স্থান) স্থানে কক্ষটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিততে সিলগালা করা হয়।’
জুবায়েরপন্থী শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান বলেন, ‘গাজীপুর জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিদল ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ময়দান বুঝে নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল স্থানীয় সাংসদের বাসায় বৈঠক শেষে আমাদের মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার।’
আজ ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এনডিসি আব্দুল্লাহ নূর, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) (দক্ষিণ) মাহবুব উজ জামান, সহকারী উপকমিশনার মেহেদী হাসান, টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম।