ইইউর আইপিএসে বাংলাদেশকে পাশে চায় ফ্রান্স

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে (আইপিএস) ঢাকাকে পাশে চায় ফ্রান্স। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া-বিষয়ক পরিচালক বারট্রান্ড লোর্থলারি একথা জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ)কাজী রাসেল পারভেজ। এসময় ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুয়েসহ ফ্রেঞ্চ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পর্কিত খবর
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে নানা খাতে সহযোগিতা বাড়ছে এবং আগামী দিনেও দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়বে প্রত্যাশা করে লোর্থলারি বলেন, এ বৈঠকে দুদেশের সুসম্পর্ক আরো জোরদারে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সেজন্য অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জীববৈচিত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রথম এফওসিকে রাজনৈতিক সংলাপ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে আলোচনায় নতুন উদ্যোগ যেমন, দুদেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মতো বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
নিরাপত্তা ও জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলার মতো চ্যালেঞ্জিং বিষয়গুলোতে একসাথে কাজ করতে ফ্রান্স ও ইইউর অংশীদাররা বাংলাদেশকে আইপিএসে পাশে চায় জানিয়ে ফ্রেঞ্চ এই পরিচালক বলেন, ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে। ফ্রান্স এ বিষয়ে গত বছর বিশেষ দায়িত্বও পালন করেছে। নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা খাত, জলবায়ু পরিবর্তনে সহযোগিতা ও সমুদ্রে অবৈধ মাছ ধরা প্রতিরোধে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে বাংলাদেশকে পাশে চায় ফ্রান্স।
গত বছর নভেম্বরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে প্যারিস সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময়ে দুই শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় যে ঢাকা ও প্যারিসের মধ্যে নিয়মিত এফওসি অনুষ্ঠিত হবে। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে দুইদেশের মধ্যে প্রথম এফওসি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বৈঠকটি আগামী বছর প্যারিসে হবে।