‘শিল্পীদের দাবি যতোটুকু সম্ভব পূরণের চেষ্টা করছি’

শিল্পীদের দাবি-দাওয়া যতোটুকু সম্ভব পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে টেলিভিশন শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’ নেতাদের সাক্ষাৎ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
সম্পর্কিত খবর
শিল্পীদের দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যতোটুকু সম্ভব সবই পূরণ করার চেষ্টা করছি। যে সব দাবি-দাওয়া ছিলো না, সেগুলোর ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিকল্পনা আছে টেলিভিশন মাধ্যমে যারা অভিনয় করেন, তাদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের প্রবর্তন করা যায় কিনা, সেটি আমরা ইতোমধ্যেই আলোচনায় এনেছি।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স দেওয়া শুরু করেন। এরপর ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছরে টেলিভিশনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিলো ১০টিতে। আমরা ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার গঠন করার পর আজ পর্যন্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ৪৬টি, সম্প্রচারে আছে ৩৬টি টেলিভিশন চ্যানেল এবং আরো কয়েকটি খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে। এভাবে ব্যাপক বিকাশ ঘটার কারণে টেলিভিশন শিল্প আমাদের ছেলেমেয়েদের একটি বড় কর্মক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো টেলিভিশন শুধু বিদেশি সিরিয়াল নির্ভর ছিলো, পরে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিপত্র দিয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেল একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল একই সময়ে দেখাতে পারবে না, সেটি কার্যকর করেছি। ফলে আমাদের দেশেও এখন সিরিয়াল নির্মাণ হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আরো বিধি করেছি, বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করলে প্রচলিত ট্যাক্সের বাইরে শিল্পী প্রতি দুই লাখ টাকা এবং যে টেলিভিশন চ্যানেল সেই বিজ্ঞাপন দেখাবে তাদের বিশ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে দিতে হবে। কারণ আমাদের শিল্পীরা অনেক স্মার্ট এবং ভালো অভিনয় করে, দেখতেও সুন্দর। তাদের বাদ দিয়ে বিদেশিদের নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আমরা খুঁজে পাইনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম