ভ্যাকসিন নিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খোকন

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলমান বিতর্কের মধ্যেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন নোয়াখালী-১ এর সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিএনপির অনেকে সংশয় প্রকাশ করে এলেও সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সেই ভ্যাকসিন নিয়ে দলটির এ নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, তিনি ভালো বোধ করছেন।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন ৬৫ বছর বয়সী এই আইনজীবী।
সম্পর্কিত খবর
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক খোকন বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে (ঢামেক) করোনার ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিলাম। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ভ্যাকসিন গ্রহণ করি। ভ্যাকসিন গ্রহণ শেষে সুপ্রিম কোর্টে ফিরে এসে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। ইনজেকশনের স্থানে সামান্য একটু ব্যথা ছাড়া আপাতত আর কোনো সমস্যা অনুভব করছি না।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেন্টালি বেটার ফিল করছি। টিকার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি না তা বলতে পারছি না। তবে আই এম ফিলিং বেটার।
বিএনপির এ নেতা বলেন, কোভিড-১৯ সারা বিশ্বময় মহামারী। প্রতিষেধক হিসেবে টিকা নেওয়ার প্রয়োজন। তাই টিকা নিয়েছি। বাংলাদেশেতো একটা অপশন, আর অপশন নেই।
এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ভারতের ভ্যাকসিনে তাদের আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে আগে ভ্যাকসিন নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে এসব বক্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘বিএনপিকে আগে টিকা দেয়ার প্রস্তাব করুন।’
বিএনপি নেতা খোকন বলেন, টিকা নিরাপদ কি না, সেটা এনশিওর করার জন্য, জনগণকে আশ্বস্ত করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধানরা… আমেরিকা এমনকি ইংল্যান্ড, রাশিয়া এবং ভারতেও সরকার প্রধান টিকা নিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথম টিকা নিলে মনে হয় জনগণ আশ্বস্ত হত এই ভেবে যে এই টিকা 'সেইফ'। সেখানে একজন নার্স দিয়ে শুরু করেছেন। আমার মনে হয় জনগণের আস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিলে ভালো হত।
নিজে টিকা নেওয়ার পর অন্য সবাইকেও টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মাহবুব উদ্দিন খোকন।
আরো পড়ুন: নির্বাচন ব্যবস্থাকে টিকা দেয়ার প্রয়োজন আছে কি?
বিএনপির যারা দ্বিমত পোষণ করে আসছেন, টিকার বিষয়ে তাদের প্রতি কী বার্তা দেবেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দ্বিমত কে করছেন? কেউ দ্বিমত করছেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর রোববার শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস