তদন্তের উদ্যোগ থেকে সরে গেলো বিএসইসি

পূর্ব অনুমতি ছাড়াই তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন তদন্তের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়া নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরফলে মঙ্গলবারের (১২ জানুয়ারি) প্রেরিত চিঠির কার্যকারিতা আর থাকলো না।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) স্থগিতাদেশের চিঠি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
এর আগে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিএসইসি ৪ কারণে তালিকাভুক্ত কোম্পানির দর উত্থান-পতনের বিষয়ে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিএসইসি। এরমধ্যে বিগত ৩০ কার্যদিবস বা কম সময়ের মধ্যে যদি কোন কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ বাড়ে বা কমে, তার কারণ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। যার জন্য বিএসইসির অনুমোদন লাগবে না এবং যখনই কোন কোম্পানির ক্ষেত্রে এমনটি হবে, তখনই তদন্ত করতে পারবে বলে জানানো হয়েছিল।
এছাড়া, কোনো কোম্পানির গড় লেনদেনের পরিমাণ আগের ৬ মাসের গড় লেনদেনের চেয়ে ৫ গুণের বেশি বাড়লে তদন্তের আওতায় আসবে। একই সঙ্গে কোনো কোম্পানির বার্ষিক বা প্রান্তিক শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশের বেশি উত্থান-পতন হলেও তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) প্রকাশের আগের ১০ কার্যদিবসে কোনো কোম্পানির দাম ও লেনদেন ৩০ শতাংশের কম-বেশি হলে স্টক এক্সচেঞ্জ সে বিষয়েও তদন্ত করবে।
বিএসইসির ওই তদন্তের নির্দেশের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী হয়। এর প্রেক্ষিতে আজ পুঁজিবাজারে বড় ধস নেমেছে। বিনিয়োগকারীদের এই আতঙ্কের কারণে বিএসইসি গতকালকের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
তবে বিএসইসির ওই উদ্যোগকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। তাদের মতে, ওই তদন্তের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের অনিয়ম বের করে আনা হত। যা সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকে সুরক্ষা দিতে সহায়তা করত। কিন্তু বিএসইসির ওই সাহসী উদ্যোগ থেকে সরে আসাকে ভিন্ন চোখে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
পূর্বপশ্চিমবিডি/ এনএন