করোনায় ২০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৯১

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৬৭০ জন।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরো ৯৯১ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ জনে।
সম্পর্কিত খবর
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৮০ ল্যাবে আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৬২৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪৬২টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৫টি।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
নতুন যে ২০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ এবং নারী ৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৮৩১ জন বা ৭৬ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৮৩৯ জন বা ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৯৪৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৫৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ২৯ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯০৪ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৯ জনে। পাশাপাশি করোনা থেকে বিশ্বব্যাপী সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার ৫৯৫ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় চীনের উহানে। সদ্য সমাপ্ত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার ৫৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৫৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪৯ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৭৭ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬১ জনের।
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে তালিকার পরবর্তী কয়েকটি দেশ হলো- রাশিয়া (৩২ লাখ ২৬ হাজারের বেশি), ফ্রান্স (২৭ লাখ ১৭ হাজারের বেশি), যুক্তরাজ্য (২৭ লাখ ২১ হাজারের বেশি) ও তুরস্ক (২২ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি)।
মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে আছে মেক্সিকো (১ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৭ জন)। তারপর ইতালিতে ৭৫ হাজার ৬৮০ জন, যুক্তরাজ্যে ৭৫ হাজার ৫৪৭ জন ও ফ্রান্সে ৬৫ হাজার ৫৪৯ জন মারা গেছেন।
এদিকে, মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে একদিনে আরো ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৬৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৯১০ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ১৬ হাজার ৯২৯ জনে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৪ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ এবং নারী ছয়জন। ২৪ ঘণ্টায় ১৮০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১২ হাজার ৭০১টি। অ্যান্টিজেন পরীক্ষাসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৬টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৭.৫২ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫.৮০ শতাংশ। মোট মৃত্যুর হার ১.৪৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৯১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫১৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমকি ২৮ শতাংশ।
পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস