খান মুহাম্মদ রুমেলের গুচ্ছ কবিতা

স্মৃতির কাশফুল
.
পেখম মেলে কাশফুলের মতো-
বেঁচে থাকো দূরে কোথাও!
বাতাস বয়ে আনে তোমার কুশল!
ছুঁয়ে দেখার সুযোগ মেলে না-
বৃষ্টি ভেজা ভোর অথবা করাল দুপুরে।.
ভেজা শহরেও আমি শুষ্ক থাকি
তোমাকে না পাওয়ার অনাহারে।
শেষ আলিঙ্গনের স্মৃতিরা- ফিরে ফিরে আসে
হাসে টিটকেরি হাসি- ধরা দেয় না আর!.
বিরহ যাপন ধুতে থাকে- স্মৃতির বাদল!
.
জমা খরচ .
অনুভূতি জমাচ্ছি- তোমার স্মৃতির
হিসেব চাইতে পারো কোনো একদিন!
যেন ফেরত দিতে পারি- পুষ্প পল্লবের অনুবাদে!.
অনুভবে অভিমান জমাতাম এক সময়!
তারপর দেখলাম তুমি জমিয়ে রাখো ব্যথা!
.
সেই থেকে বেদনাকে আর জমতে দিই না
পাছে তোমার দূঃখের কলস আরো ভারি হয়?
.
আমি বরং জীবন খরচ চলি বেহিসেবি!
.
আউল বাউল প্রেমিক .
তারপর একদিন থেমে যাবে সব কোলাহল
মুছে যাবে তালপাতায় লেখা নাম!
ডালে বসা শালিক, হঠাৎ ডাকা কোকিল-
ভুলে যাবে আউল বাউল মুখ!
সতেজ শাপলা হয়তো রাখবে না ধরে
বাউণ্ডুলের স্মৃতি!.
সবুজ ঘাস মাড়িয়ে হাঁটবে নতুন কেউ
রূপালি আলাপে মত্ত রবে আগামীর কবি!
সুরের মুর্ছনায় ভাসাবে কেউ নির্জন সুরে!.
সেই অমিত রঞ্জন কালে, পড়বে কি মনে- অনামী প্রেমিকের কথা?
.
যার সারাটা কিশোর বেলা গেলো কিশোরী পরীর খোঁজে!
.
গল্পের শহর .
প্রতি সন্ধ্যায় গল্পের খোঁজে নামি
আমি এই শহরে!
গল্প কোথায়? শুধু দেখি নিয়ন আলো।
চুরি হয়ে গেছে স্বপ্নালু হাঁসের চোখ!.
এইসব দস্যুতার ভিড়ে বাতাস বয় কখনো-
যদি তুমি আসো বেদনা হয়ে!
কারণ,
সুখ মানে বেদনা অপার
হাজার না পাওয়ার ভিড়ে
শীতল জল ছিটিয়ে বেঁচে থাকা!.
সুনিপুণ কলম
.
বিষন্ন রকম বিশুদ্ধ এক যুবক
আমার চারপাশে ঘুরে
হাজার পঙ্কিলের ভিড়ে!
লাজুক স্বরে হাসে নিচু গলায় বলে
তাকে ঘিরে টলোমল করে বিপুল রমনীর দল
সে ধরে রাখে - অগনন রহস্য বুকপকেটে!.
কলম শুধু কালি ঝরায় কবিতায়
এর বাইরে কলমের ব্যবহার অজানা তার!
.
নুন জমা ঘামের আল্পনাও অজানা তার!
.
ভীষণ রকম বিষন্নতায় ডুবে গিয়ে ছেলেটি
কখনো কখনো খোঁজে কোন মুখ?
.
দ্বিধাগ্রস্ত তরুণীর কাছে ছেলেটি- বরাবরই আগন্তুক!
পূর্বপশ্চিম- এনই