একাই ওকে নিয়ে যুদ্ধ করেছি: হানিফ সংকেত

হানিফ সংকেতের ইত্যাদি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০০৩ সালে গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন আকবর। আকবরের উত্থান যতোটা দ্রুত ছিল, শেষটা সেভাবে হয়নি। এভাবেও বলা যায়, অসুখ আর অভাবে ধুঁকে ধুঁকে রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে তিনি মরেই গেলেন। তার এমন অসহায় সময়েও বরাবরের মতো পাশে থাকার চেষ্টা ছিল হানিফ সংকেতের।
‘ইত্যাদি’র স্রষ্টা হানিফ সংকেত রোববার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আকবরের জন্য শোক জানিয়েছেন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, আজ দুপুরে আকবরের স্ত্রী হঠাৎ ফোন করে অঝোরে কাঁদছিল, বললো- ‘আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গ্যাছে’। ফোনটা যখন পাই তখন আমি রংপুরে পরবর্তী ইত্যাদির জন্য একটি প্রতিবেদন ধারণ করছিলাম। ফোন পেয়েই বুঝেছিলাম আকবর আর নেই। কারণ বেশ কিছুদিন থেকেই তার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। ক্রমশই অবনতি হচ্ছিল। নিয়মিত খোঁজ রাখছিলাম। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা হচ্ছিল। লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিস-সবকিছু মিলিয়ে শারীরিক অবস্থা ছিল অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। অবশেষে জীবনের কঠিন সত্য মৃত্যু (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তবে এটুকু সান্ত্বনা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আকবরের চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং আর্থিক সহায়তাও দিয়েছিলেন। এছাড়া অনেকেই তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
সবশেষ হানিফ সংকেত লেখেন, ‘আকবরের সংগীত জীবনের উত্তরণের পথটা সহজ ছিল না। ২০০৩ সালে যাত্রার পর থেকে অনেকটা একাই ওকে নিয়ে যুদ্ধ করেছি। আকবর খুব বেশি গান করেনি। তবে যে কটা করেছে তা সব প্রজন্মের শ্রোতাদের আবেগ-অনুভূতি ছুঁয়ে গ্যাছে, যা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনেক দিন। আকবরের এই অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত। আকবরের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম