গবিতে পরীক্ষা পেছানোর দাবীতে আন্দোলন
প্রশাসনিক ভবনে তালা, জরুরী আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ২য় দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা। প্রথমদিনের দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহণ না করায় একাডেমিক ভবনের পর এবার প্রশাসনিক ভবনেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৭মার্চ) সকালে বিভিন্ন স্থান থেকে জড়ো হতে থাকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে তারা একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (ভারপ্রাপ্ত), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সহ অনেকেই অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।
সম্পর্কিত খবর
ইতিমধ্যেই ২য় দিনের আন্দোলনে স্থবির ৩২ একরের ক্যাম্পাস। অনেক কর্মকর্তা, কর্মচারী সহ শিক্ষকবৃন্দের অনেকেই বাহিরে অবস্থান করছে।
এদিকে অবরুদ্ধ ভবনগুলোর চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসময়, তারা পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে স্লোগান তুলতে থাকে এবং দাবী না মানলে আরো কঠোর আন্দোলনের হুমকি প্রদান করে।
শিক্ষার্থীদের দাবী ৬ মাসের পরীক্ষা ৩ মাসেই শেষ করতে চায় প্রশাসন। খেলাধুলা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের কারণে এই ৩ মাসে সিলেবাসও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। অনেকেরই প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। এরই মধ্যে সামনে রমজান। রোজা রেখে পরীক্ষা দেওয়া কষ্টসাধ্য।
এদিকে গত ০৫ মার্চ এপ্রিল ২০২৩ সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরুর বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে ২৯ মার্চ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করলে বাঁধে বিপত্তি। এরই প্রেক্ষিতে গতদিন স্মারকলিপিসহ আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এতে করে এক সপ্তাহে পরীক্ষা পিছায় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তও মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। তারা রমজানে নয় একেবারে ঈদের পরই পরীক্ষা দিতে চান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'আমরা মূলত দুইটি দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। প্রথমত, প্রসপেক্টাসে ৬ মাসের সেমিস্টারের কথা থাকলেও আমরা পাচ্ছি মাত্র ৩ মাস। এর মধ্যে পরীক্ষা এবং রেজাল্টে সময় যায় ১ মাস। এতে আমাদের পড়ালেখার গুণগত মান ঠিক থাকছে না। দ্বিতীয়ত, রমজান মাসে আমরা পরীক্ষা দিতে চাই না। অনেক শিক্ষার্থী দূর দুরান্ত থেকে আসে। রমজান মাসে পরীক্ষা হলে আমরা অসুবিধার সম্মুখীন হবো।'
আইন বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ফাউজু ফয়েজ নীদ বলেন, আমাদের ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাসেই শেষ করা হচ্ছে। এজন্য আন্দোলন করছি।
সর্বশেষ তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষেদর ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দের জরুরী মিটিং চলছে।
উল্লেখ্য, একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলতি সেমিস্টারের পাঠদান শুরু হয় ২৭ নভেম্বর এবং রেজাল্ট সহ শেষ হবে ১লা এপ্রিল যা ৬ মাসের সেমিস্টারের তুলনায় অপ্রতুল।