আদালতের রায়ের পরেও প্রবাসীকে জমি না দেওয়ার অভিযোগ

রাজধানীর তুরাগে আদালতের রায় পাওয়ার পরও নিজের জমি বুঝে পাচ্ছেন না রাসেল মাহমুদ নামের এক প্রবাসী। ভুক্তভোগীর পিতা খলিলুর রহমানের কেনা সম্পত্তি জোর করে দখলে রাখার অভিযোগ আছে জনৈক সিরাজুল ইসলাম ওরফে ওমরের বিরুদ্ধে।
রাসেল অভিযোগ করে বলেন, তার পিতার কেনা সম্পত্তি জোর করে দীর্ঘদিন থেকে দখল করে খাচ্ছেন ওমর। প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা দামের সম্পত্তি এভাবে জবরদখল করায় তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মূলত ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণেই ওমর থেকে দখল ছাড়িয়ে আনতে পারছেন না তিনি।
সম্পর্কিত খবর
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, আদালতের রায় থাকার পরও ওমরের রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাবের কারণে জমিতে যেতে পারছেন না। এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোনও সুরাহা পাননি তিনি।
তবে ওমরের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি তুরাগ থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে সেই কমিটি বিলুপ্ত হলেও কয়েক বছর আগে সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে তাকে বাদ দেওয়ার কথা বলেন থানার সাবেক সভাপতি।
জানা যায়, রাজনৈতিকভাবে তিনি নিষ্ক্রিয় থাকলেও দলীয় পরিচয় এবং প্রভাব বিস্তার করে ওমর এখন অনেক টাকার মালিক বনেছেন। দলে নিজের অবস্থান নড়বড়ে থাকায় সম্প্রতি বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা তুরাগ থানার একটি মামলায় ওমরের ছেলে ফাহাদসহ তাদের পরিবারের আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। বিএনপির বিরুদ্ধে করা এ মামলায় ১-৫ নং আসামি ওমরের ছেলেসহ পরিবারের লোকজন।
নিজের বিরুদ্ধে জমি দখল এবং পরিবারের সদস্যরা বিএনপির মামলায় জড়িত হওয়ার বিষয়ে ওমর বলেন, আমি কারও জমি দখলে রাখিনি। আমার অধীন রের্কডীয় জমির বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করে রেখেছেন। এটায় তিনি রায় পেয়েছেন, কিন্তু আমি আপিল করেছি। শিগগিরই রায় হবে। এই মামলা হয়রানির জন্য করা হয়েছে।
বিএনপির নেতাদের সাথে পরিবারের সদস্যদের জড়ানোকে তিনি ষড়যন্ত্র বলেছেন।