ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭ জনের পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস। রোববার (৫ মার্চ) জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা ওই বার্তায় গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি সবার কাছেই দায়বদ্ধ। তবে বিশেষ করে যারা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে তাদের স্বজনদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের গ্রিসে এসে....ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্যে দুটি ট্রেন একই লাইন দিয়ে চলতে পারে না- কেউ বিষয়টি খেয়াল করলো না।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে গ্রিসের লারিসার পাশে যাত্রী ও পণ্যবাহী দু’টি ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এথেন্স থেকে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন উত্তরাঞ্চলীয় শহর থেসালোনিকির দিকে এবং থেসালোনিকি একটি পণ্যবাহী ট্রেন লারিসের দিকে যাচ্ছিলো। একপর্যায়ে গভীর রাতে লারিসার কেন্দ্রীয় শহরের বাইরে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রচণ্ড সংঘর্ষে যাত্রীবাহী ট্রেনটির প্রথম চারটি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে এবং প্রথম দুইটি বগিতে আগুন ধরে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
এদিকে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দেশটির অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস।
কোস্টাস কারামানলিস বলেছিলেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা যখন ঘটেছে, তখন কিছু না ঘটার ভান করে কাজ চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি এ ব্যর্থতার দায় নিচ্ছি। একইসঙ্গে মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিচ্ছি।
দুর্ঘটনার পর থেকে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ করছেন। রোববারও রাজধানী এথেন্সে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, এদিন প্রায় ১২ হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। কেউ কেউ আবর্জনার বিনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পেট্রোল বোমা ছোড়ে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম