ব্রাজিলের সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট

ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়াতে দাঙ্গার দুই সপ্তাহ পর দেশটির সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। সেনাপ্রধান জেনারেল জুলিও সিজার ডি আরুদা সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
দেশটির সামরিক সূত্র শনিবার (২১ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
প্রেসিডেন্ট হিসেবে বলসোনারোর মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র দুই দিন আগে ৩০ ডিসেম্বর জুলিও সেনাপ্রধানের পদ গ্রহণ করেছিলেন। জানুয়ারির শুরুতে নতুন প্রেসিডেন্ট লুলার প্রশাসন জুলিওর নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলো।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর শুক্রবার লুলা দেশটির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন। এই বৈঠকে জুলিও অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠক শেষে কোনো পক্ষ থেকেই বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বামপন্থী সাবেক ট্রেড ইউনিয়ন নেতা লুলা গত বছরের অক্টোবরে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে উগ্র-ডানপন্থী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বলসোনারোকে পরাজিত করেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি লুলা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন।
৮ জানুয়ারি বলসোনারোর হাজারো সমর্থক দেশটির কংগ্রেস ভবন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্ট ভবন দখল করেন। তাঁরা হামলা-ভাঙচুর চালান। এ দাঙ্গার ঘটনায় দুই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বলসোনারোর সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ব্রাজিলের সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করে আসছেন লুলা। এ ঘটনার জেরে ইতিমধ্যে সামরিক বাহিনীর বেশ কিছু সদস্যকে চাকরিচ্যুত করেছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি সবশেষ সেনাপ্রধানকেও বরখাস্ত করলেন।
দাঙ্গার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লুলা সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছেন।
বলসোনারোর প্রশাসনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সামরিক সদস্যের উপস্থিতি ছিল। এ বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট লুলার সবচেয়ে বড় তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হবে- ব্রাজিলের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পর্কের দিকটি।
সেনাপ্রধান হওয়ার প্রাক্কালে গত বুধবার টমাস অঙ্গীকার করেন, ব্রাজিলের সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা দিয়ে যাবে। নির্বাচনের ফলাফল সবার মেনে নেওয়া উচিত বলেও পরামর্শ দেন তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম